What is backend? ব্যাকঅ্যান্ড কি?

ব্যাকএন্ড বলতে বোঝায় একটি সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের সেই অংশ যা ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান নয়। এটি ডেটাবেস, সার্ভার, এবং লজিক নিয়ে কাজ করে। এর বাংলা হতে পারে:

  • "অভ্যন্তরীণ সিস্টেম"

  • "ব্যাকএন্ড সিস্টেম"

  • "পেছনের কার্যপ্রক্রিয়া"

  • Backend হলো অ্যাপ্লিকেশনের "অদৃশ্য" অংশ যা ডেটা পরিচালনা এবং সিস্টেমের লজিক কার্যকর করার জন্য দায়ী। এটি ব্যবহারকারীর সামনে না আসলেও, পুরো সিস্টেমের কার্যক্ষমতার ভিত্তি।

    Backend-এর প্রধান উপাদানগুলো

    1. সার্ভার (Server):
      এটি এমন একটি কম্পিউটার বা সিস্টেম যা ডেটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত করে।

    2. ডাটাবেস (Database):
      এখানে ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত হয়।

      • উদাহরণ: MySQL, MongoDB, PostgreSQL।
    3. ব্যাকএন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ (Programming Languages):
      ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলো।

      • উদাহরণ: Python, PHP, Java, Node.js, Ruby।
    4. এপিআই (API - Application Programming Interface):
      ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ডের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য একটি সেতু।


কীভাবে Backend কাজ করে?

  1. ব্যবহারকারী একটি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে (ফ্রন্টএন্ড) কোনো রিকোয়েস্ট পাঠায়।

  2. সেই রিকোয়েস্ট ব্যাকএন্ডে যায়।

  3. ব্যাকএন্ড ডাটাবেস থেকে ডেটা সংগ্রহ করে বা লজিক কার্যকর করে।

  4. ফলাফল আবার ফ্রন্টএন্ডে পাঠিয়ে দেয়।


Backend-এর বাংলা অর্থ এবং ব্যাখ্যা:

  • বাংলা অর্থ: "পশ্চাদভাগ", "অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালী"।

  • ব্যাখ্যা:
    উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি ই-কমার্স সাইট (যেমন Daraz) ব্যবহার করেন এবং একটি প্রোডাক্ট সার্চ করেন, তাহলে আপনি যা দেখছেন (ছবি, বাটন ইত্যাদি) তা ফ্রন্টএন্ড। কিন্তু আপনার সার্চের ডেটা ডাটাবেসে পাঠানো এবং প্রোডাক্টের তথ্য ফিরিয়ে আনার কাজটি ব্যাকএন্ডের মাধ্যমে হয়।


Backend-এর গুরুত্ব

  1. ডেটা নিরাপত্তা: ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।

  2. তথ্য পরিচালনা: বড় পরিমাণ ডেটা সহজে প্রক্রিয়াজাত করতে পারে।

  3. সিস্টেমের কার্যক্ষমতা: পুরো অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে ব্যাকএন্ডের উপর।

Monolithic Architecture কী?

Monolithic শব্দের অর্থ "একক এবং অবিচ্ছিন্ন (একটিমাত্র ব্লক)"।
এখানে অ্যাপ্লিকেশনের সমস্ত ফিচার (যেমন ইউজার ইন্টারফেস, ডেটাবেস লজিক, ব্যবসায়িক লজিক) একসাথে একই কোডবেস এবং সার্ভারে থাকে।


Monolithic Architecture-এর বৈশিষ্ট্য

  1. একক কোডবেস:
    অ্যাপ্লিকেশনের সমস্ত কোড এক জায়গায় থাকে।

  2. একক ডিপ্লয়মেন্ট:
    পুরো অ্যাপ্লিকেশন একবারে ডিপ্লয় (পুশ) করা হয়।

  3. টাইটলি কাপলড (Tightly Coupled):
    প্রতিটি উপাদান একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

  4. একক স্কেলিং:
    অ্যাপ্লিকেশনের একটি অংশে বেশি লোড হলেও পুরো অ্যাপ্লিকেশন স্কেল করতে হয়।


Monolithic Architecture কিভাবে কাজ করে?

  1. প্রথম ধাপ: ব্যবহারকারী ফ্রন্টএন্ডের মাধ্যমে একটি রিকোয়েস্ট পাঠায়।

  2. দ্বিতীয় ধাপ: ব্যাকএন্ড (Monolithic) সেই রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে এবং একক কোডবেস থেকে প্রাসঙ্গিক লজিক চালায়।

  3. তৃতীয় ধাপ: ফলাফল ডাটাবেস থেকে নিয়ে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়।

উদাহরণ:
একটি ই-কমার্স অ্যাপ্লিকেশন যেখানে ব্যবহারকারীর লগইন, পণ্য তালিকা, এবং অর্ডার প্রসেসিং একই কোডবেস এবং সার্ভারের মধ্যে কাজ করে।


Monolithic Architecture-এর সুবিধা

  1. সহজ উন্নয়ন (Simple Development):
    কোড লিখতে এবং পরীক্ষা করতে তুলনামূলক সহজ।

  2. সহজ ডিপ্লয়মেন্ট (Easy Deployment):
    একটি ফাইল বা ইউনিট হিসেবে সার্ভারে আপলোড করা যায়।

  3. পারফরম্যান্স (Performance):
    একক ইউনিট হিসেবে কাজ করায় ডেটা প্রসেসিং দ্রুত হয়।

  4. সহজ ডিবাগিং (Easy Debugging):
    কারণ সমস্ত কোড একসাথে থাকে।


Monolithic Architecture-এর অসুবিধা

  1. স্কেলিং সমস্যা (Scaling Issues):
    অ্যাপ্লিকেশনের একটি ছোট অংশের কারণে পুরো সিস্টেম স্কেল করতে হয়।

  2. পরিবর্তন কঠিন (Difficult to Modify):
    একটি ফিচার পরিবর্তন করলে পুরো সিস্টেমে প্রভাব পড়তে পারে।

  3. বড় আকারে জটিলতা (Complexity in Large Size):
    অ্যাপ্লিকেশন বড় হলে কোড ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যায়।

  4. ফল্ট টলারেন্স কম:
    একটি ছোট সমস্যা পুরো অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করতে পারে।


Monolithic vs. Microservices

Monolithic Architecture-এর বিকল্প হলো Microservices Architecture, যেখানে অ্যাপ্লিকেশনটি ছোট ছোট স্বাধীন সার্ভিসে বিভক্ত করা হয়।

MonolithicMicroservices
একক কোডবেসআলাদা আলাদা সার্ভিস
স্কেল করা কঠিননির্দিষ্ট অংশ স্কেল করা যায়
একটি সার্ভার প্রয়োজনআলাদা সার্ভার প্রয়োজন
উন্নয়ন ও ডিপ্লয় সহজজটিল কিন্তু মডিউলার

Monolithic ব্যবহার কোথায় উপযুক্ত?

  1. ছোট বা মাঝারি আকারের অ্যাপ্লিকেশন।

  2. যেখানে স্কেলিং বা ফিচার আপডেটের প্রয়োজন কম।

  3. দ্রুত ডেভেলপমেন্ট এবং সহজ ডিপ্লয়মেন্ট প্রয়োজন।